সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ধানসিঁড়ি নদীর পূর্বপাড়ের অবহেলিত গ্রাম পশ্চিম চর ইন্দ্রপাশা। এ গ্রামে অধিকাংশ দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষের আশ্রয়ে নির্মিত হয় গুচ্ছগ্রাম। প্রায় দুই যুগ আগে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য নদীর পূর্বপাড় থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির রাস্তায় ইট বসানো হয়। নির্মাণ করা হয় ব্রিজ ও কালভার্ট।
বৃষ্টির পানি ও বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গুচ্ছগ্রামের উত্তর প্রান্তের ধানসিঁড়ি নদীর শাখা খালের কালর্ভাটটিও। গুচ্ছগ্রাম এলাকা সংলগ্ন ধানসিঁড়ি নদীর শাখা খালের ব্রিজের গোড়ায় মাটি না থাকায় এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায় সাইকেল-ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় ব্রিজের দুই পাশের মাটি ও ইট খসে পড়ে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের হেঁটে চলাচল করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবে, প্রয়োজনের তাগিদে পিকআপ, নসিমনসহ চার চাকার যানবাহনগুলোকে চলাচল করতেই হয়। রাস্তা না থাকায় ব্রিজে উঠতে ও নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় এসব যানবাহনকে।
স্থানীয়রা জানায়, চর ইন্দ্রপাশা গ্রামের এ রাস্তা দিয়েই হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, ইউনিয়ন পরিষদ, থানায় যাতায়াত করতে হয় তাদের। রাস্তাটি ভেঙেচুড়ে একাকার হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে। সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হয় বৃদ্ধ রোগী ও শিশুদের। বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা, কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরে বারবার বিষয়টি জানিয়েও সংস্কারের ব্যবস্থা করা যায়নি।
মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার জানান, সড়কটি এরই মধ্যে জেলা উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকাভুক্ত হয়েছে। দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
রাজাপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা ও সার্ভেয়ার সুমন হোসেন জানান, চর ইন্দ্রপাশা গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বরাদ্দ না থাকায় এতদিন সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সরেজমিনে রাস্তাটি দেখা হয়েছে। শিগগিরই ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply